সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল: ব্র্যাক রোড সেফটি প্রোগ্রামের ‘শিখা প্রকল্প’-এর উদ্যোগে ১২ নভেম্বর বুধবার চট্টগ্রামে ট্রাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ ও ব্র্যাক স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য এক দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রশিক্ষণটি স্টেশন রোডস্থ দি এলিনা হোটেল অ্যান্ড স্যুটস অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার প্রধান লক্ষ্য ছিল গণপরিবহন ও জনসমাগমস্থলে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা (GBV) এবং যৌন হয়রানি (SH) প্রতিরোধ ও মোকাবিলার জন্য স্থানীয় কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, যাতে তারা নারী-বান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়।
এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)'র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ) মো. রবিউল ইসলাম। কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাক ডিস্ট্রিক্ট কোওর্ডিনেটর মো. ইনামুল হাসান এবং সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক রোড সেফটি প্রোগ্রামের ‘শিখা প্রকল্প’র লিড মো. নাজমুল হক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক জেন্ডার অ্যান্ড ডাইভার্সিটি প্রোগ্রামের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হামিদুল হক, ট্রাফিক সহায়তাকারী গ্রুপের ইনচার্জ মো. আজিম উদ্দিন ছিদ্দিকী এবং সহযোগী সংস্থা ব্লাস্ট ও ইপসা টিমের প্রতিনিধিবৃন্দ।
সিএমপির ডিসি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে স্কুল পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং চালক, হেল্পার ও মালিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া অত্যন্ত জরুরী। তিনি গণপরিবহনে ড্রাইভার, হেল্পার ও কনডাক্টরদের দুর্ব্যবহারের সমালোচনা করে নারীদের জন্য পর্যাপ্ত আসন নিশ্চিতকরণ ও তাদের প্রতি পুরুষদের সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান। সর্বোপরি, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে সড়কে একটি নিরাপদ, সুস্থ ও সম্মানজনক পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতি তিনি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। এ প্রশিক্ষণে ট্রাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ ও ব্র্যাক কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবকসহ মোট ৩২ জন অংশ নেন।
ব্র্যাক, ইপসা এবং ব্লাস্ট-এর অংশীদারিত্বে পরিচালিত এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, গণপরিবহন ও কমিউনিটিতে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধে টেকসই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)-এর অর্থায়নে পরিচালিত ‘শিখা’ প্রকল্পটি আগামী চার বছরব্যাপী (ফেব্রুয়ারি ২০২৫ – জানুয়ারি ২০২৯) ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।