চন্দনাইশ প্রতিনিধি: সুযোগ বুঝে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দিয়ে ৩০ বছর বয়সের এক গৃহবধূ দুই সন্তানের জননীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে নুর হোসেন (৩০) নামে এক যুবক। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে চন্দনাইশ থানার ওসি গোলাম সারোয়ার জানান, আত্মগোপনে থাকা ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড খোদারহাট গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ন প্রকল্প ৬নং ওয়ার্ড গ্রামে এক গৃহবধূকে (৩০)কে দীর্ঘদিন থেকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই এলাকার বাসিন্দা নুর হোসেন (৩০)।
গত ১লা অক্টোবর রাতে গৃহবধূর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নুর হোসেন সুযোগ বুঝে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে বখাটে নুর হোসেন জোরপূর্বক ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে জানালে জানে মেরে ফেলবে মর্মে হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমকে পূনরায় কুপ্রস্তাব দিলে ভিকটিম তাহার স্বামীকে ধর্ষণের বিষয়ে জানালে বিষয়টি সামাজিকভাবে বৈঠক করে শেষ করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিষয়টি সামাজিকভাবে বৈঠকে শেষ না হওয়াতে থানায় এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
থানার এসআই মোঃ নুর আমজাদ সঙ্গীয় ফোর্স সহ তাৎক্ষণিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার আসামী একই এলাকার চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড জাফরাবাদ (খোদারহাট) গুচ্ছগ্রাম সাকিনস্থ আব্দুল গফুরের ছেলে নুর হোসেনকে (৩০)তাহার নিজ এলাকা থেকে ১৩/১০/২৫ ইং তারিখে রাতের বেলায় গ্রেপ্তার করেছে। পরবর্তীতে অদ্য গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রেরণ করা হয়েছে।