নিউজ ডেস্ক: শতাব্দীপ্রাচীন একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা। সম্প্রতি ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও ঐতিহ্য নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে একটি চক্র সমিতির কার্যালয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে স্বাভাবিক কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সমিতির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তফা ইকবাল চৌধুরী মুকুল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দিনের বেলায় কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী রাজধানীর তোপখানা রোডে চট্টগ্রাম ভবনের নীচে অবস্থান করে এবং রাতে সমিতির কার্যালয়ে অবৈধভাবে রাতযাপন করে। তাছাড়া, সমিতির প্যাড ব্যবহার করে বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সমিতির 'মানি রিসিপ্ট' ব্যবহার করে ভবনের ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করারও তথ্য মিলেছে। সমিতির বৈধ কমিটির সদস্য ও আজীবন সদস্যরা এসব ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
এদিকে দুই বছর মেয়াদী বর্তমান কার্যকরী কমিটির মেয়াদ আগামী ৩১.১২.২০২৫ তারিখে শেষ হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩ মাস আগে নির্বাচন কমিশন গঠন করার গঠনতান্ত্রিক নিয়ম; সেই গঠনতান্ত্রিক নিয়মেই ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনও গঠন করা হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের বাধার মুখে নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনাররা ভবনে প্রবেশ করতে পারছেন না এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমও পরিচালনা করতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। এমতাবস্থায় সঠিক সময়ে নির্বাচন করতে না পারলে এই শতোর্ধ্ববর্ষী ঐতিহ্যবাহী সামাজিক প্রতিষ্ঠানটি ভয়াবহরকম সংকটের মধ্যে পড়ে যাবে।
এমন ঘটনায় সমিতির সমিতির জীবন সদস্যদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তারা প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলে যোগাযোগ করে সহযোগিতা চেয়েছেন।
খুব দ্রুত কার্যালয়ের স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য ভবনের নীচের ও কার্যালয়ে অবস্থানরত বহিরাগতের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার ব্যপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমিতির নির্বাহী কমিটি।