আরফাত হোসেন: চন্দনাইশ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড সৈয়দ বাড়ি এলাকায় আগামী ২৬ আশ্বিন ১১ অক্টোবর শাহান শাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (ক.)র বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে মাইজভান্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ফ্রি খতনা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ৩ অক্টোবর (শুক্রবার) সকালে চন্দনাইশ পৌরসভার হক ভান্ডারী ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও দায়রা শরীফ প্রাঙ্গনে আলহাজ্ব মো. ইউছুফ ভান্ডারীর আয়োজনে এবং সার্জিকেয়ার হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার লি: এর ডা. খাজা মোহাম্মদ হোসেন কাউসার রিপনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ খতনা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত খতনা ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাফেজ নগর দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহসুফী সৈয়দ জুনাঈদুল আনোয়ার হাফেজ নগরী। আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ ভান্ডারীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহান শাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, শাহান শাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের ‘ক’ জোনের সমন্বয়কারী আবদুর রহমান ও মোহাম্মদ হাসান, ‘খ’ জোনের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ দুলাল ও ডা. সেলিম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোলাইমান ফারুকী, আহমদ তায়েব সিকদার, সাংবাদিক এসএম মহিউদ্দীন, মোহাম্মদ সগির প্রমুখ।
১ম দিনের খতনা ক্যাম্পে ২২ জনকে ফ্রি খতনা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়। আগামী ১৭ অক্টোবর ২য় বারের মতো বিনামূল্যে খতনা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। এসময় বক্তারা বলেন, মাইজভান্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফ্রি খতনা ক্যাম্প, কর্ণছেদন, সিএনজি, অটোরিকসা, সেলাই মেশিন, গৃহপালিত পশু গরু, ছাগল, গৃহহীনিদের ঘরবাড়ি নির্মাণ, অসহায় মহিলাদের বিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এদিকে আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ ভান্ডারী মাইজভান্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ এর নামে ১০ শতক জায়গা ওয়াকফ করে দেন। যা সকলের জন্য উন্মুক্ত কবরস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তিনি নিজস্ব উদ্যোগে এই কবরস্থানে যাতায়াতের জন্য সড়কও নির্মাণ করে দিচ্ছেন।