নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরীর ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় করছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম চট্টগ্রাম ১১ আসেন সাংসদ প্রার্থী শফিউল আলম।
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম চট্টগ্রাম ১১ আসেন সাংসদ প্রার্থী শফিউল আলম বলেনছেন,আমি ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থাকাকালীন সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের যত রকম প্রোগ্রাম আছে, শ্মশান আছে সব জায়গায় আমার উন্নয়নের ছোয়া আছে। আমার কাছে হিন্দু -মুসলিমের কোনো ভেদাভেদ নেই। নাগরিক সেবা নিয়ে আমি সর্বোচ্চ টুকু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি পরকালে বিশ্বাসী,আল্লাহকে ভয় করি।
হাশরের ময়দানে যেন হিন্দু-মুসলিম কারো ওপর জুলুম করে আটকা না পরি সেজন্য আগামীতেও বিশ্বের যত সুন্দর নগর আছে তার মধ্যে আমাদের বিশাল সমুদ্র, চট্টগ্রাম বন্দর, কর্ণফুলী জোনসহ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ব্লু ইকোনমি জোন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। বেকার মুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে কাজ করবো। আপনারা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তাসহ বিদ্যামান যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা সমাধানের উপায় আমার জানা আছে। তিনি সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন আপনারা যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে সমাজ থেকে অনিয়ম, দূর্নীতি, অপরাধ রোধ করার পাশাপাশি উন্নয়নে পাল্টে যাবে সমাজের চিত্র।
তিনি টেকসই গণতন্ত্রে উত্তরণের পূর্বশর্ত ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যেতে হবে। গত ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর বন্দর-ইপিজেড-পতেঙ্গা এলাকার সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো.শাহেদ, ৪০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো.ইউসুফকে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ভক্ত বৃন্দদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইপিজেড থানার আমীর আবুল মোকাররম, শফিউল আজম, মজিবুল হক বকুল, মোহাম্মদ ইউনুস, মো. জাহাঙ্গীর,
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সভাপতি মো.বেলাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের প্রচার সম্পাদক উত্তম শীল,দীপিকা সংঘ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুজন কুমার শীল, সাধারণ সম্পাদক সৈকত মহাজন সাজু, ইপিজেড থানা শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুজন মজুমদার, জেলেপাড়া পূজা কমিটির সভাপতি পান্না দাস।