চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের চন্দনাইশে জাল দলিল সৃজনকারীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, উপজেলা কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নে এলডিপি’র নেতা সাবেক ২নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার মোঃ রফিকুল ইসলাম এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আমিনুল ইসলামগং, পিতা— মৃত মিন্নত আলী সর্বসাং— পশ্চিম এলাহাবাদ, চন্দনাইশ চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
সিআর মামলা নং — ৬৬৩/২৪(চন্দনাইশ), মহামান্য আদালত ২০০ ধারায় আমলে নিয়ে মামলার তদন্তের জন্য সিআইডি চট্টগ্রামকে নির্দেশ দেন। ফলে সিআইডি চট্টগ্রাম যথার্থভাবে ঘটনার তদন্ত পূর্বক সত্যতা যাচাই করে ঘটনার সত্যতা উৎঘাটন করে প্রতিবেদন মহামান্য আদালতে প্রেরণ করেন।
আদালতের চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সিআইডি’র প্রতিবেদন পর্যালোচনান্তে আসামীগণের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামী আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী বিগত ১৭/০৫/২০২৫ইং তারিখ বিজ্ঞ ৪র্থ জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করে বাদী ও আসামীপক্ষের শুনানীনান্তে বিজ্ঞ আদালত সন্তুষ্ট হয়ে ১নং আসামীকে সি/ডাব্লিউ মুলে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অপর ২নং আসামী হোসনে আরা বেগমের জামিন মঞ্জুর করেন। বর্তমানে অত্র মামলার ৩নং আসামী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ৪নং আসামী মোহাম্মদ রুকন উদ্দিন পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নে এলডিপি নেতা সাবেক মেম্বার মোঃ রফিকুল ইসলামের দাদা মৃত সোলতান আহমদের নামে ৬০ ইংরেজী সনের ভূয়া দলিল সৃজন করেন। দলিল নং— ৫৩৭২, জায়গার পরিমাণ ১৯ গন্ডা। অথচ যারা মামলায় অভিযুক্ত জাল দলিল সৃজনে ষড়যন্ত্রকারী ৪ জন মামলায় সম্পৃক্ত রয়েছে। দলিলের নকল নেওয়ার পর দেখা যায় দাতা এবং গ্রহীতা ভিন্ন। এরা একই উপজেলার বরকল ইউনিয়নের কানাইমাদারী মৌজার বাসিন্দা। অথচ তারা ভিন্ন জন।
অভিজ্ঞ মহল বলেন, এ ধরণের ন্যাক্কার জনক জাল দলিল সৃজনকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দৃশ্যমান করা প্রয়োজন। যাতে অদূর ভবিষ্যতে অন্য কেউ এধরণের নীতিবিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট মোঃ আবু ছালেহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
Leave a Reply