মুমিনুল হক মাস্টার একজন সফল বাবা যিনি তাঁর জীবনকে উৎসর্গ করেছেন তার সন্তানের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে ছাত্র জীবনে ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী পঞ্চম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পায়, এসএসসিতে কৃতিত্বের সাথে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। এইচএসসিতে ও প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ও ভালো ফলাফল করেন । ওই সময় এলাকায় ইংরেজি শিক্ষকের বড়ই অভাব ছিল তাই কর্মজীবনে তিনি নিজের এলাকাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য চট্টগ্রাম শহরে কিংবা ঢাকায় না গিয়ে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করলেন দেশ ও মানুষের সেবায় এলাকায় ছাত্রছাত্রীদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে নিরলস ভাবে প্রায় ৩০ বছর শিক্ষকতা পেশায় কাজ করেছেন। ওনার কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া শিক্ষার্থীরাই এখন ইউনিয়নের কৃতি সন্তান যারা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন , সরকারি -বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন দেশের সেবায় ভূমিকা রাখছেন।
তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে প্রথম মেয়ে গ্রাজুয়েট হয়েছে পোস্ট গ্রেজুয়েশন ডিগ্রি সম্পন্ন হওয়ার পথে দ্বিতীয় মেয়েও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তৃতীয়টি ছেলে উনিও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত চতুর্থ মেয়ে তিনি ক্লাস ফোর এ পড়ালেখা করছে। জনাব মুমিনুল হক মাস্টার পারিবারিকভাবে অনেক উচ্চ বংশীয় ফ্যামিলিতে পটিয়া উপজেলার হাইদ গাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাবা ও মাকে সেবা করার জন্য এবং এলাকাকে শিক্ষায় শিক্ষিত করে আলোকিত করে গড়ে তোলার জন্য নিজ এলাকা পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়নের হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
এখন তিনি স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও সৎ মানুষ হিসেবে স্কুলের সকল ছাত্রছাত্রী ও এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছেন এলাকার যে কোন সমস্যার সমাধানে তিনি সবার আগে এগিয়ে আসেন সাধারণ মানুষের বিভিন্ন বিপদাপদের সময় তিনি সবসময় পাশে থাকেন এলাকার বিভিন্ন ঝগড়া বিবাদ মীমাংসা করতে মামলা মোকদ্দমা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সবাই ওনাকে মাস্টার সাহেব বলে ডাকেন সম্মান করেন শ্রদ্ধা করেন ভালবাসেন তাই তিনিও সমাজের মানুষের জন্য কাজ করতে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে পছন্দ করেন। তিনি এলাকায় বিভিন্ন অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের সদস্য ও উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।
তিনি এলাকার মানুষদেরকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চেষ্টা করেন শিশুরা যাতে পড়ালেখা থেকে ঝড়ে না পড়ে তার জন্য বাবা-মাকে বোঝান এবং উনার হাতে গড়া ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে ও নিজ অর্থায়নে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও আর্থিক সহায়তা করেন । এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। এলাকায় বিভিন্ন ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকেন। দরিদ্র শিক্ষার্থীকে পারিবারিকভাবে সহায়তা করেন এলাকার কৃষি উন্নয়নে কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে থাকেন যাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যাপক কৃষি উৎপাদন সম্ভব হয়। তিনি এলাকায় উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা -কর্মচারীদের অনুষ্ঠানে মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে অংশগ্রহণ করে।
সফল শিক্ষক মোহাম্মদ মুমিনুল হক বলেন, “শিক্ষকতা জীবনে হাজার হাজার ছেলেমেয়েকে নিজের সন্তানের মত ভালোবেসে লেখাপড়া শিখিয়েছি। পাশাপাশি নিজের সন্তানদেরকেও সুশিক্ষিত করার চেষ্টা করেছি। আমার ছেলে-মেয়ে ও শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেশ সেবায় কাজ করছে জীবন সায়াহ্নে এটাই আমার পরিতৃপ্তি”। স্কুলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবু রনধীর দেবনাথ বলেন, মুমিনুল হক মাস্টার অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ তিনি সব সময় সহকর্মীদের ভালোবাসেন এবং বিপদে আপদে পাশে থাকেন সহযোগিতা করেন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ও নিজের ছেলে মেয়ের মতো ভালোবাসেন।
Leave a Reply