স্টাফ রিপোর্টার: ৬ মে মঙ্গলবার চন্দনাইশের মৌলভীবাজারস্থ নবাবীখানা রেস্টুরেন্টে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে গঠিত চন্দনাইশ উপজেলা স্টিয়ারিং কমিটির সপ্তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩২৫ রেজ্যুলেশনের ভিত্তিতে “গ্লোবাল নেটওর্য়াক অফ উইমেন পিসবিল্ডার্স” এর সহায়তায় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “টেকসই শান্তিতে অবদান রাখতে বাংলাদেশী নারীদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চন্দনাইশ উপজেলার সরকারী কর্মকর্তা, নারী নেত্রী, শিক্ষক, সংস্কৃতি কর্মী, স্থানীয় সরকার ও যুব প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত চন্দনাইশ উপজেলা স্টিয়ারিং কমিটি চন্দনাইশে নারীর শান্তি ও নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে। চন্দনাইশ উপজেলা শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি জাফর আহম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা পরিচালনা করেন চন্দনাইশ স্টিয়ারিং কমিটির সমন্বয়ক এবং উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম এরশাদুল করিম ও বিএনপিএস- চট্টগ্রাম কেন্দ্রের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক ফেরদৗস আহম্মদ। সভায় অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা চৈতী বড়ুয়া।
সভায় চন্দনাইশ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাসেল চৌধুরী, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর আক্তার সানজিদা জাফর পপি, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, পল্পী প্রগতি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. নুরুল হক, ওডেবের এরিয়া অফিসার মাহমুদুল হক, সৌরিতা জাগ্রত মহিলা সমিতির সভাপতি সঞ্চিতা বড়ুয়া, বরকল ইউপি সদস্য আয়েশা আক্তার আজাদী, চন্দনাইশ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র হাসনারা বেগম, সাবেক কাউন্সিলর কোহিনুর আকতার ও প্রতিবেদক উম্মে হাবিবা জেরিন উপস্থিত ছিলেন । এতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সভায় অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্য শুনেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনামুলক মতামত প্রদান করেন জিএনডাব্লিউপির বাংলাদেশের প্রতিনিধি পাহীমা আহমেদ এবং বিএনপিএসের উপ-পরিচালক নাসরিন বেগম।
সভায় বিগত সভার বিষয়বস্তু পর্যালোচনা, গত সভায় গৃহীত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী অর্জন, পরবর্তী করণীয়, জেন্ডার সমতা, উপজেলা পর্যায়ে নারী ও মেয়েদের উপর সংঘাত ও সহিংসতার প্রভাব এবং শান্তি বিনির্মাণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। সভায় চন্দনাইশ থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কে নারী এসআই নিয়োগের লক্ষ্যে অফিসার ইনচার্জকে স্টিয়ারিং কমিটির পরবর্তী সভায় আমন্ত্রণ জানানোর উদ্দেশ্যে চিঠি প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসাথে, উপজেলা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটি ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটিকে সক্রিয় করার লক্ষ্যে চলতি মে মাসে উপজেলায় সভার আয়োজন করবেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং তিনি ইউনিয়ন কমিটিগুলো সক্রিয় করার লক্ষ্যে চিঠি ইস্যু করবেন বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি কর্মপরিকল্পনার মূল বিষয় যথাক্রমে অংশগ্রহণ, প্রতিরোধ, সুরক্ষা ও পুনর্বাসন বিষয় সমূহ যথাযথভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।