আজ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিখোঁজ তামিমকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলেন মানবাধিকার সংস্থা সিপিআরএস সংগঠন

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা রেললাইন সংলগ্ন আলহেরা মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত হাফেজ বিভাগের ছাত্র ১৩ বছরের শিশু তামিম খান মাদ্রাসার বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেতে গত ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) জুমার নামাজ পড়তে গিয়ে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজ খবর নিয়ে শিশু তামিমের কোনো হদিস না মিললে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তামিমের অভিভাবকে নিখোঁজের বিষয়টি জানান।

শিশু তামিমের অভিভাবক নিজেরাও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে শিশুটিকে পেতে ব্যর্থ হয়ে ইপিজেড থানা, রেব ৭ অফিস ও কাউন্সিলর কার্যালয়ে অভিযোগ করেন।

পরবর্তীতে গত ৩০ তারিখ সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী পরিবার সিপিআরএস মানবাধিকার অফিসে লিখিত অভিযোগ করলে ১ মে সিপিআরএস মানবাধিকার সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো.বেলাল হোসেনের নির্দেশে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটা কমিটি গঠন করে হারানো শিশুর অভিভাবক ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে একটি বৈঠকের মাধ্যমে আলোচনা করা হয়।

২ মে সকাল ১০ টায় সিপিআরএস মানবাধিকার সংস্থা এবং হারানো শিশুর অভিভাবকসহ সরজমিনে মাদ্রাসা পরিদর্শন ও শিক্ষার্থী এবং মাদ্রাসা কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা শেষে ইপিজেড থানার (ওসি)’র সঙ্গেও বৈঠক হয়। একদিকে ইপিজেড থানার (ওসি) মাদ্রাসা কতৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

অন্যদিকে সিপিআরএস মানবাধিকার সংস্থা পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়, হারানো শিশুকে কিভাবে খুঁজে বের করে তার অভিভাবকদের কোলে তুলে দেওয়া যায়।

হারানো শিশুটি বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে খুঁজতে গত ৩ মে রাত ৯ টায় ইপিজেড থানাধীন হাসপাতাল গেট কয়লা রেস্টুরেন্টের পাশে শিশুটিকে পাওয়া যায়। তখন মানবাধিকার সংগঠনের মাধ্যমে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে সন্ধান দেওয়া হয় পরবর্তীতে ইপিজেড থানা পুলিশকে হারানো শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানালে ইপিজেড থানা কতৃপক্ষ জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের ছেড়ে দেন।

মানবাধিকার সংস্থা সিপিআরএস এর চট্টগ্রাম বিভাগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আয়েশা বেগম বলেন, আমি দীর্ঘক্ষণ শিশু তামিমের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি মাদ্রাসার বন্দী জীবনের প্রতি শিশুটির চরম অনীহা, মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ খাওয়া-দাওয়া কিছুই তার ভালো লাগে না। যেখানে নেই কোনো ছুটি, খেলাধুলা। সব কিছু মিলে তামিম মানষিক অশান্তির মধ্যে ছিলো। তার মধ্যে যোগ হয়েছে শিশুটির পিতা-মাতার বিবাহ বিচ্ছেদ।

যার কারণে শিশুটির জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সোনালী শৈশব। শিশুটি বঞ্চিত পিতা -মাতার আদর স্নেহ ভালোবাসা থেকে। মাদ্রাসার বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেতে শিশুটি গ্রামে চলে যাবার সিন্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামীতেও আমাদের পক্ষ থেকে সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

শিশু তামিমের সন্ধান পেতে মাঠ পর্যায়ে ছিলেন, মানবাধিকার সংস্থা সিপিআরএস এর চট্টগ্রাম বিভাগের টিম প্রধান মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আয়শা বেগম, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক মো.আলাউদ্দিন ও প্রকাশনা সম্পাদক আলমগীর কবির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর